জীবনের গতিময়তায় ধ্রুবকের স্থান নেই।জীবনের এক একটি মুহুর্তের গুরুত্ব তখনই অনুভূত হয় যখন একটি মুহুর্ত ই জীবনের স্থায়িত্বের কারন হয়ে দাঁড়ায়। এই মুহুর্ত টুকু ই হয়তো কাটিয়ে যেতে চেয়েছিলেন কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে সাওয়ার হওয়া শিশু কন্যার বাবা থেকে কারো মা,বাবা, কারো স্বামী বা কারো নিকটজন । নিশ্চিত অদৃষ্টের কাছে প্রার্থনা ও করেছেন ওই মুহুর্ত টা থেকে মুক্তির জন্য। ফিরতে চেয়েছেন পরিবারের কাছে। তিনি, কারো কথা রেখেছেন তিনি, কারো রাখেন নি।
কে না চায় ট্রেন যোগে এক ঘন্টায় হাসনাবাদ থেকে শিয়ালদহ পৌঁছাতে? কে না চায় চিকিৎসার জন্য তার প্রীয়জন কে নিয়ে যত দ্রুত সম্ভব তত দ্রুত গতিতে রাজ্যের কোথাও বা ভিন রাজ্যে পৌঁছাতে? তবে একবারও কেউ চিন্তা করে যে আনন্দ যাত্রা হোক বা প্রয়োজনীয় যাত্রা হোক না বিষাদে পরিনত হতে পারে?
গত বছর করমন্ডল এক্সপ্রেস এর দুর্ঘটনার কবলে পরেছিলেন হাসনাবাদের ই এক যুবক।এক দিন পর বাড়ি ফিরেও চোখে মুখে তার স্পষ্ট আতঙ্কের চিত্র চাক্ষুষ করেছিলাম, আর তাকে অন্যত্র না যাওয়ার অঙ্গীকার করিয়েছিলো তার পরিবার। তবে দিন যায়,রুটি, রুজি র টানে আমরা ভরসা করি রেল কে। আমরা ভরসা করি আমাদের প্রযুক্তি কে,আমাদের দেশের আধিকারিকদের নৈপুণ্য কে। তবে কি কোথাও কোনো ভুল?
আমরা তো বুলেট ট্রেন চাই, তবে আরো বেশী করে চাই নিরাপত্তা। এই মানুষের নিরাপত্তা যাদের হাতে সেই ড্রাইভার,স্টাফ থেকে সহায়ক সকলের স্বাস্থ্য পরীক্ষা,মানসিক স্থিতি থেকে তাদের যথাযথ বিশ্রামে গুরুত্ব দেওয়া উচিৎ বকে মনে হয়। সমস্ত মেশিনারিজ,অ্যালার্ম,সাডেন স্পট ব্রেক সহ সবকিছুর স্বাস্থ্য পরীক্ষাও দরকার মনে হয়।তবে শুধু ই রেল নয় রেল হোক চিকিৎসা হোক অন্য যে কোন ক্ষেত্র হোক, আমাদের দেশের আধিকারিক,দেশীয় প্রযুক্তি,মেধার উপর আমাদের যে ভরসা,তা থেকে আমাদের আশাহত করবেন না। জীবন গতিশীল হোক, জীবন দ্রুতগামী হোক কিন্তু চোখের জলের বিনিময়ে নয়।।
সৌরভ
অভিব্যক্তি সৌরভ
0 Comments